যশোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সড়কবাতি মেরামতে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রকৌশলীকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান তুহিনকে মারপিট করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে পৌরসভায় ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেন কর্মচারীরা।

অভিযুক্তরা ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিবুল আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

জানা যায়, যশোর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু সড়কবাতি নষ্ট হয়ে গেছে। পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগ পর্যায়ক্রমে সেই বাতিগুলো মেরামত করছিল। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সড়কবাতি মেরামত নিয়ে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের হুমকি ধামকি ও গালিগালাজ করেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিবুল আলমের অনুসারীরা।

বিদ্যুত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান তুহিন তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন- মেরামত কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে দ্রুতই সব মেরামত করা হবে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান তুহিনের কার্যালয়ে যান কাউন্সিলর রাজিবুল আলমের অনুসারী বিপ্লবসহ দুই-তিনজন। তারা প্রকৌশলী তুহিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার ওপর চড়াও হন, তাকে মারপিট করেন।

এ সময় ওই দপ্তরে অবস্থান করা পৌরসভার কর্মীরা তাদের ঠেকাতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের মারতে উদ্যত হন।

এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান তুহিন জানান, রাজিবুল ভাইয়ের লোকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কর্মীদের হুমকি-ধমকি গালিগালাজ করার দরকার নেই। কোনো অভিযোগ থাকলে অফিসিয়ালি আমাকে জানাবেন; কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আমার গায়ে হাত তুলেছেন। অন্যদেরও মারতে তেড়ে গেছেন।

এ ঘটনার পরপরই এর প্রতিবাদে পৌর কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পৌর কাউন্সিলর রাজিবুল আলম। এরপর পৌর কর্মচারীরা তাদের কর্মবিরতি তুলে নেন।

তবে যশোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিবুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, তার কোনো কর্মী পৌরসভার কোনো কর্মচারী বা কর্মকর্তাকে মারধর করেননি। এ ধরনের কোনো ঘটনাই সেখানে ঘটেনি।