দুই দশক আগে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট। সেই থেকে লড়াই করে সম্প্রতি একের পর এক এলাকার দখল করে সংগঠনটির যোদ্ধারা। ফলে বাধ্য হয়ে কাবুল ছাড়তে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র।

ওই চুক্তির আওতায় চলতি বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর আফগান ছেড়ে যাওয়ার আগেই কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। গত ১৫ আগস্ট দেশটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর প্রাক্কালে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তিনি বিপুল অর্থ-সম্পদ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নেন।

সেখান থেকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির রেডিও ফোর চ্যানেলকে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আশরাফ ঘানি। এটি আজ বৃহস্পতিবার প্রচার করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, ঘানি তার সরকারের পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন।

সাক্ষাৎকারে সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন, তালেবানের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তি চুক্তি করার সময় তার সরকারকে দূরে ঠেলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিদের আচরণে আফগানিস্তান নয়, তালেবান ও শান্তি প্রতিষ্ঠাই ওয়াশিংটনের মূল লক্ষ্য ছিল বলে মনে হয়।

তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ঘানিকে ‘সম্পূর্ণ অন্ধকারে’ রেখেছিল দাবি করে তিনি বলেন, তালেবানের সঙ্গে তার সরকারকে বসার সুযোগই দেয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে এভাবেই কাবুলের নেতৃত্বকে একেবারে মুছে ফেলে পশ্চিমারা, তাদের বিশ্বাস করাই একমাত্র ভুল ছিল।

এদিকে, দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছে তালেবান। নতুন এই সরকারের সঙ্গে বৈঠকও করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। এসব দেশ ও সংস্থা কাবুলের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও তাদের সঙ্গে দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে।