দুইপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে আটকে রাখা হলো ক্যানসার আক্রান্ত মুমূর্ষু শিশুকে পরবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। সড়কে সাইড দেওয়া নিয়ে দুই চালকের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। চালকের তর্কের জেরে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে আটকে রাখে একপক্ষ। এ সময়ই গাড়িতে মারা যায় আফসানা (৯)মুমূর্ষু শিশুটি।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুইপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে শিশুর প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটেছে সাভার উপজেলার আশুলিয়ার বাইপাইল মোড় এলাকায়। শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান।
এ ঘটনায় মৃত আফসানা গাইবান্ধা জেলা সদর থানার ধানঘড়ার শাপলা মিল এলাকার আলম মিয়ার মেয়ে। ক্যানসারের রোগী ছিল ওই শিশু।
পুলিশ বলছে, অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাস চালক টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাইড দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক মারুফ হোসেন বলেন, রোগী নিয়ে আমরা গাইবান্ধার দিকে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস আমাদের সাইড দিচ্ছিল না। এ সময় আমার হেলপার ইমন তাদের বলে আমাদের অ্যাম্বুলেন্সে ইমারজেন্সি রোগী আছে একটু ছেড়ে দেন।
তিনি জানান, এ নিয়ে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে লোকজন ডেকে বাইপাইল এলাকায় গাড়ি আটক করে আমাদের মারধর করে। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে যায় তারা। চাবি নেওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে রোগী মারা যায়। পরে পুলিশ এসে রোগীকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
অ্যাম্বুলেন্সটির চাবি নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা অভিযুক্ত মাইক্রোবাস চালকের নাম নজরুল ইসলাম। তিনি বাইপাইল এলাকার আব্দুল মজিদের গাড়ির চালক।
এ ঘটনা প্রাণ হারানো শিশুর পিতা আলম মিয়া বলেন, আমার মেয়ে ক্যানসারের রোগী। তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিল। কিন্তু মহাখালী হাসপাতাল থেকেও আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছে। মেয়ে বাঁচবে না বলেই জানিয়েছিলো ডাক্তার।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ করা হলে তখন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
A New Comment
Emoji